মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের ডিজিটাল লেনদেন সেবা নিয়ে মিলিত হয়ে দর কষাকষি করা যাবে না বলে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাংকগুলোকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার দেশটির অ্যান্টিট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রকাশ করা এক খসড়ায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশন (এসিসিসি) জানায়, অ্যাপল আইফোনের ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা নিয়ে মিলিতভাবে প্রস্তাব দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে, আলাদাভাবে একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আলোচনায় ব্যাংকগুলোর সামর্থ্য কমে যাবে।
অস্ট্রেলিয়ার ওই ব্যাংকগুলো আশা করে তারা অ্যাপলের ‘ইন-হাউস’ এই লেনদেন সেবা কাটিয়ে এর নিজস্ব সংস্করণ বের করবে। এরই প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে জানিয়েছে রয়টার্স। অস্ট্রেলিয়ার স্মার্টফোন বাজারে সবচেয়ে বেশি শেয়ার অ্যাপলেরই দখলে।
ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা চালুতে অস্ট্রেলীয় ব্যাংকগুলো প্রথম ‘চ্যালেঞ্জ’ নেয়। নতুন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্ববাজারে ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবসায় অ্যাপলের আধিপত্য শক্ত হতে পারে- এমন নজির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
এসিসিসি-এর চেয়ারম্যান রড সিমস এক বিবৃতিতে বলেন, “এসিসিসি ধারণা করে ব্যাংকগুলোকে মিলিতভাবে আলোচনা ও বর্জনের সুযোগ দেওয়া হলে তাদেরকে অ্যাপলের সঙ্গে দর কষাকষিতে উন্নত অবস্থান দেওয়া হতে পারে, এর লাভ এখনও অনিশ্চিত আর হয়তো সীমাবদ্ধও।”
অ্যাপল পে এখন বিভিন্ন কার্ড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যে কার্ড বদল গ্রাহকদের জন্য সহজ করে দিয়ে প্রতিযোগিতা বাড়াতে পারে।
কমনওয়েলথ ব্যাংক অফ অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্টপ্যাল ব্যাংকিং কর্পোরেশন, ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংক লিমিটেড, বেন্ডিগো অ্যান্ড অ্যাডেলেইড ব্যাংক- এই চারটি অস্ট্রেলিয়ার ক্রেডিট কার্ড বাজারের এক তৃতীয়াংশ ধরে রেখেছে। তাদের দাবি, অ্যাপলকে মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে দেওয়াটা অপ্রতিযোগিতামূলক ছিল। কিন্তু অ্যাপলের দাবি, ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবসায় তৃতীয় পক্ষের অ্যাকসেস দেওয়া উচিৎ নয়, কারণ এর মাধ্যমে গ্রাহকদের প্রাইভেসি ও ডেটা নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হবে।
মঙ্গলবার এ নিয়ে অনুরোধ করা হলেও প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিরা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
চলতি বছর মার্চে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে এসিসিসি।
No comments:
Post a Comment